নড়াইলের লোহগড়া উপজেলার আমাদার পূর্ব পাড়া গ্রামের রিজাউল মোল্যা দীর্ঘ দিন যাবৎ প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায় অসাড় দেহটি নিয়ে খুপড়ি ঘরে দিন কাটছে তার।
গত বৃহস্পতিবার ২০মে সরজমিনে গিয়ে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রিজাউল ছোট্টবেলা থেকেই ঘাত প্রতিঘাতের মাঝে বড় হয়েছে। অনাহারে ও দিন কেটেছে । তিনি একজন দিন মজুর, তার সংসারে দুই ছেলে, দুই মেয়ে ও এক স্ত্রী।
তার ছেলে মিলন মোল্যার সঙ্গে কথা হলে সে আবেগ প্লুত হয়ে বলে আমার বাবা কোনদিন সুখের মুখ দেখে নাই। সারাটা জীবন শুধু কষ্টের সঙ্গে লড়াই করেছে। কিছু দিন আগে ছোট বোনের বিয়েতে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা সুদে আনে।
যাহা আমরা কেউ জানি না। তিনি কখনও তার কষ্টের কথা আমাদের কাছে বলত না এবং বুঝতে দিতো না। আমাদের কোন নিজের জমিজমা নেই। বিশ শতক জমি বর্গা চাষ করতো তাতে যে ধান হয় তা হয়ত এক/দুই মাসের চাউলের খরচ হয়। বাকি সময়টুকু কৃষান বিক্রয় করে তিনি সংসার চালাত। তাছাড়া আমার মা ও জটিল স্ত্রী রোগে ভুগছে।
মিলন সাংবাদিক কে বলেন: স্যার যে ভিটায় আমরা বসবাস করি, তাহা আমার চাচা মিজান ম্যোলা বাবার কাছ থেকে ফাঁকি দিয়ে লিখে নিয়েছে। আমাদের থাকার ভিটা বাড়িটুকু তিুনি কেঁড়ে নিয়েছে।
এখন পুরো পরিবারের দায়িত্ব আমার ঘাড়ে। বাবার চিকিৎসা করাব না সংসার চালাব ? আমার ত আর টাকা নেই !
সে কান্না জড়িত কন্ঠে বলে বিধাতা কি এত নিষ্ঠুর ! স্যার আমার একটা কিডনি আপনারা বেঁচে দিবেন ! সেই টাকা দিয়ে আমার বাবাকে চিকিৎসা করাতাম। বাবার অসাড় দেহটি ত আর দেখতে পারছি না ! বাবা বলেন: মিলন আমাকে ডাক্তার দেখালে, আমি ভালো হয়ে যাব। বিধাতা কি আমার বাবার ডাক শুনছেনা ! সমাজে কি কেউ নেই, আমার বাবাকে একটু চিকিৎসা করাবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।